,

শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে কাশিয়ানীর ঈদ বাজার

কাশিয়ানীতে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে ঈদেও কেনাকাটা।

লিয়াকত হোসেন লিংকন:  রমজানের শেষ দিকে জমে উঠতে শুরু করেছে কাশিয়ানীর ঈদ বাজারের কেনাকাটা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ততোই বাড়ছে। ছোট-বড়, কিশোর-কিশোরীদের পদভারে মুখর হয়ে উঠছে মার্কেটগুলো।

টেইলার্সের দোকানগুলোতেও বাড়ছে পোষাক তৈরির ব্যস্ততা। দিন-রাত বিরামহীনভাবে কাজ করছেন কারিগররা। সময়ের অভাবে নতুন করে পোষাক তৈরীর অর্ডার নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন কারিগরেরা।

উপজেলার সদরের হাজী মার্কেট, দত্ত মার্কেট, ঐশী বস্ত্রালয়, বিনোদ মার্কেট, খান সেন্টার, সিকদার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনীবিতান ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটায় মার্কেটগুলোতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষণীয়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদকে ঘিরে অভিজাত মার্কেট-শপিংমলগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।

উপজেলার বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবির কদর প্রতি বছরের মত এবারও রয়েছে। এবারের ঈদ বাজারে নরমাল, নবাব, প্রিন্ট, বুটিক ও হাতে কাজ করাসহ বাহারী ডিজাইনের নানা বৈচিত্র্যের পাঞ্জাবী বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঈদে শিশু-কিশোর ও বড়– সবারই ঈদে বাড়তি আকর্ষণ পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীর পাশাপাশি তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ফিটিং হাফ শার্ট, ফুল শার্ট ও শর্ট পাঞ্জাবী। এসব পোষাকের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে বেল্ট, নানা রঙের জুতা-সেন্ডেল কিনছেন।

বরাবরের মতো এবারও ঈদ বাজারে মেয়েদের থ্রি পিছের পাশাপাশি রং-বেরঙের দেশি-বিদেশী শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা আর পাঞ্জাবিতে ছেয়ে গেছে বিপনী বিতান। মেয়েদের বাড়তি আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ক্যাকটাস্, থ্রি ডি, বিভা, বিশাল, লকনা, আশিকী, পাখি, ফ্লোরটাচ, মাস্তানি, বাগি ড্রেস, সামপুরা, লং কোটি, মাসাককালী, ওয়াইফাই, জয়পুরী সুইচ লন, জয়পুরী প্রভৃতি।

এছাড়া সুতি ও সিল্কের পাঞ্জাবী, থ্রি পিছ, শাড়ি, শিশুদের রেডিমেন্ট জামা কাপড় বিক্রি হচ্ছে। পোষাকের পাশাপাশি চুড়ি, ফিতা, মেহেদী, ক্লিপ, পায়েলসহ রুপচর্চার কসমেটিক্স, পারফিউম সামগ্রী বেশ বিক্রি হচ্ছে। আতর, টুপি, জায়নামাজ ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।

নতুন ডিজাইনের অজুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম ইচ্ছামত হাঁকছে বিক্রেতারা। অভিজাত শপিংমল থেকে শুরু করে সাধারণ বিপনীবিতান এমনকি ফুটপাতের অস্বাভাবিক দাম রাখা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুন বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

উপজেলার পরানপুর গ্রাম থেকে কেনাকাটা করতে আসা শিরীন বেগম বলেন, ‘গত বছরের ৫শ’ টাকার জিনিস এখন ৮শ’ /৯শ’ টাকা চাচ্ছে। একটি ভারতীয় থ্রি পিছ কিনলাম ৮ শ’ টাকায়। যে টি গত বছর ৫/৬শ’ টাকায় পাওয়া যেত।’

উপজেলা সদরের দত্ত বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী পলাশ দত্ত বলেন, ‘দেশীয় পোষাকের চেয়ে ভারতীয় বিভিন্ন হিন্দি সিরিয়ালের নামে বাজারে আসা পোষাক মেয়েদের বেশি পছন্দ। তবে বেচাকেনা এবার ভালই হচ্ছে’

এই বিভাগের আরও খবর